images

বিএনপির দলছুট সাত্তারকে জেতাতে সরে দাঁড়াচ্ছেন আ.লীগের তিন নেতা

রাজনীতি

১৪ জানুয়ারি, ২০২৩

বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞাকে উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে (সরাইল-আশুগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দলের তিন নেতাকে বসিয়ে দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ। তাঁদের আজ শনিবারের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, উকিল আবদুস সাত্তারকে জিতিয়ে আনার বিষয়ে দলে অনানুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সরকারি লোকজনও যুক্ত হয়েছে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের যে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন এবং স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম। তিনজনই জানিয়েছেন, তাঁরা ভোট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। 

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা গতকাল শুক্রবার এই তিনজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী থাকতে পারবেন না—এই বার্তা দেওয়া হয় তাঁদের। এই তিন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য শেষ দিন রোববার পর্যন্ত সময় চাইলে তাতেও সায় দেননি জেলার নেতারা। আজ শনিবারের মধ্যে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন ৫ জন। এখন পর্যন্ত বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৮।

বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করার পর শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসন জাসদকে এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসন ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন দল বা জোটের কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বাকি তিনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে।

বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগী উকিল আবদুস সাত্তারকে জেতাতে কি আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রার্থী দেবে না ঠিক করেছে। এটাই তথ্য। এর বাইরে কেউ কোনো অনুমাননির্ভর কথা বলতেই পারে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজের সন্তান রেখে সৎ ছেলের পেছনে দৌড়ায় না।’